Friday, June 16, 2017

Learning Foreign Languge




Learning a foreign language is always fun, but to learn Chinese I guess my all teeth will fall apart. I've spent two years in china, still I don't get a clue what my Chinese lab mates are talking about. The situation gets worst in lab meetings which is usually conducted in Chinese and most of the time I just seat around with my face like "Bangla panch". My crazy Chinese Professor who speaks to Chinese students 10 minutes on some issues, he speaks to me on the same issue in less than 2 minutes with a lot of pause. Sometimes I wonder is that the same translation he said to me? When I myself try to speak Chinese, my poor pronunciation is the worst. The situation just turns out that "they forget their own language". Oftentimes they just stare at me like I'm the alien one landed from Mars. In fact to all Chinese, all foreigners are aliens. So then I bring out my smart cellphone where I kept at least two Chinese-to-English and English-to-Chinese translator apps and dictionary. I show them what I wanted to say and they understand. I breathe a deep sigh of relieve, "Oh! Finally!"


Thats my expression when everyone around me speaks Chinese
Photo source: Hachiman Hikigaya (Yahari Ore no Seishun SNAFU)

I had this fascination for learning Japanese from watching anime. Konichiwa (good day), Ohayo gozaimasu (good morning), arigatou gozaimasu (Thank you),
Sugoi! (wow!),  Oishii!  (Delicious!), Nani (What?), Kawaii desu ne (its cute!), Hontou desu ka? (Really?), Ganbatte kudasai (do your best)
suki dayo (male speech for I love you) or suki yo (female speech for I love you). In 2012 with these words in mind I went to Japan for 2 months. I liked how Japanese people greet each other by bowing.  I also started bowing to anyone I meet on the lift and stairs. Unfortunately I could not speak more than those words and I had trouble finding halal and vegetarian foods. A senior friend taught me that "buta" means pork and to survive learn to speak two sentences: "Kore ni wa butaniku ya butaniku no abura?" (Does this food contain pork or pork oil?) and "Kore wa bejitarian-yō no shokujidesu ka?" (is this food vegetarian?). So I survived in a non-English speaking East Asian country for the first time without knowing the language.

In 2013 I went to China to start my PhD. Before leaving Bangladesh only Chinese word that I knew was "Ni hao" (Hello!). Still I could not say "Ni hao" like the Chinese. So to fulfill the requirement I had to study how to read, write and speak Chinese language for 3 months. What was the first words you learned during the foreign language study? For me it was learning to say "Ni hao", thank you (Xie Xie), welcome (Bu ke qi) in a Chinese way and least but not the least "Wo aii ni" (I love you!) and "Wo thebia Xi huan ni" (I specially like you).
By the way can't help sharing two jokes:

Joke number 1:
A Swiss man, looking for directions, pulls up at a bus stop where two Americans are waiting.
“Entschuldigung, koennen Sie Deutsch sprechen?” he asks. The two Americans just stared at him.
“Excusez-moi, parlez vous Fracais?” he tries. The two continue to stare.
“Parlare Italiano?” No response. “Hablan ustedes Espanol?” Still nothing.
The Swiss guy drives off, extremely disgusted.
The first American turns to the second and says, “Y’know, maybe we should learn a foreign language.” “Why?” says the other. “That guy knew four languages, and it didn’t do him any good.”

Joke number 2:
Two translators on a ship were talking.
“Can you swim?” asked one.
“No” said the other, “but I can shout for help in nine languages.”
I would be that person learning to ask for help other than "hello" and "thank you". By the way, other day I checked my foreign language skills during a conversation with a friend. Except my mother tongue and English, I can speak and understand a little of Chinese, few words of Japanese, as well as Hindi and Urdu. My friend commented, "What shall you do if all language fails in an alien land?"
"If all else fails, use the universal sign and body language and don't forget to download translator apps in your cellphone."


Saturday, June 10, 2017

চাইনিজ ফুড ফেস্টিভাল এক্সপিরিয়েন্স





১ মে চায়নাতে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ৩ দিনের ছুটি। বান্ধবি বল্ল উরুমচিতে দুইখানে নাকি ফুড ফেস্টিভাল হচ্ছে এ উপলক্ষে। যাবা নাকি? না করার কিছু নাই। দুনিয়াতে আছে ৩টা জিনিস- ১ খাও, ২ ওজন বাড়াও, আর ৩ ওয়েট মেশিনে উঠে চিল্লাও- আ আ আ........ ওজন বেড়ে গেছেএএএএএএএএ।  তো সেই খানাদানার উসিলাতেই গেলাম ফুড ফেস্টিভালে। পথপ্রদর্শক দুই চৈনিক বালিকা সমভ্যাবিহারে- শিয়ানশিয়ান এবং গুয়ান।

দুই ফেস্টিভালের ভেন্যু উরুমচির দুই মাথায়। প্রথম ভেন্যুতে গিয়ে পুরাই হতাশ- সবই চাইনিজ অখাদ্য-কুখাদ্য। ৫আরএমবির কাবাব ১০ আরএমবিতে বিক্রি করে। সাথের দুই চাইনিজ বালিকার এক বালিকা গুয়ান ২০ আরএমবিতে দুটা কাবাব কিনে খেতে শুরু করল। আরেক চাইনিজ বালিকা শিয়ানশিয়ান, প্রেসিডেন্ট শি জি পিং নাকি কোন পুর ভরা চাইনিজ ব্রেড খায় যাকে চাইনিজে বলে মানতোউ কিনে খেতে শুরু করল। এটা নাকি চায়নাতে খুব জনপ্রিয়- প্রেসিডেন্টের পছন্দের খানা বলে কথা! ফুড ফেস্টিভালে এসে কিছু না কিনে খাওয়াটা খারাপ দেখায়। তো আমিও একটা স্প্রিং পটেটো স্টিক কিনে নিলাম। বান্ধবিকে বল্লাম তুমি আর কিনে কি করবা। এটা থেকেই দুজন শেয়ার করি। বান্ধবির মনে হয় ব্যপারটা পছন্দ হয় নাই। সে আবার গিয়ে একখান স্প্রিং পটেটো স্টিক কিনে আনল। স্প্রিং পটেটো স্টিকে দুই কামড় বসাতেই মেলায় ঘুরা শেষ। দুই চৈনিক বালিকার চড়ম মন খারাপ, তারা ভাবছিল মেলায় নিশ্চয় অনেক বিদেশি খাবার দাবার থাকবে। আয়োজক অফিসে জিগেস করলে বলে, স্টল এই ১৫ টাই।


স্প্রিং পটেটো স্টিক

বের হয়ে জিগেস করল আমরা দ্বিতীয় ভেন্যুতে যেতে চাই কিনা। নো প্রবলেম চল। প্রায় দুই ঘন্টা বাসে ট্রাভেল করে মাঝপথে বাস চেনজ করে দ্বিতীয় ভেন্যু উরুমচির আরেক মাথায়। মেলায় নানা দেশের পতাকা দিয়ে সাজানো। বাংলাদেশের পতাকা দেখা তো অবাক আমি। দুই চৈনিক বালিকাকে দেখালাম। কন্সার্টের স্টেজও আছে। প্রচুর চেয়ার-টেবিল সাজানো। লোকজন জার্মান সসেজ, পাকা কলা, আনারসের পুর-ভরা তামিল পরোটা কিনে নিচ্ছে। চাইনিজ কাবাব তো আছেই। একটা স্টল পেলাম যেখানে জীবন্ত স্করপিয়ন কিলবিল করছে, ফ্রায়েড কিছু স্যাম্পলও রাখা কাঠিতে গেথে। মনে হইতেছিল এন্ড্রু জিমারম্যানের বিজার ফুড শো লাইভ দেখতেছি! সেল্স এসিস্টেন্ট ছেলে রাশান- জিগেস করলাম, "ডিড ইউ ইট?" ছেলে হাসতে হাসতে বলে, "নো"।
আমার পতাকা

ফ্রায়েড স্করপিয়নের বারবিকিউ, খেতে চান?

জ্যান্ত স্করপিয়ন 


চৈনিকদেশে মাসুদ ভাই ছাড়া অন্য বাংলাদেশির চেহারা দেখলাম বহুদিন পরে এই ভেন্যুতেই। এক আইসক্রিম এর স্টল- প্রথমে ভাবছিলাম নিশ্চয় পাকিস্তানি নয়তো ইন্ডিয়ান। বান্ধবি তাকে জিগেস করে, "আর ইউ ফ্রম পাকিস্তান?" বলে, "আই এম ফ্রম বাংলাদেশ"। বান্ধবি বলে, "আরে সি ইজ ফ্রম বাংলাদেশ!"
ছেলে  ভিষণ অবাক, আমিও। আবার জিগায়, "আর ইউ ফ্রম বাংলাদেশ?"
আমি বাংলায় বলতে  চাইলাম, "আরে বাংলায় কথা কস না কেন?" কিন্তু আমার নিজেকে অবাক করে মুখ দিয়ে ইংরেজি বের হয়ে গেল, "হোওয়াই আর ইউ নট স্পিকিং ইন বাংলা?"

ছেলে এবার বাংলায় উত্তর দিল, "চাইনিজ আর ইংরেজি বলতে বলতে বাংলা ভুলে যাচ্ছি"। সেপ্টেম্বরে সে চাইনিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপে শিনজিয়াং ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ করতে আসার পর এই প্রথম সে কোন বাংলাদেশির চেহারা দেখল আর বাংলা বল্ল সামনাসামনি। আমি নিজেও সামনাসামনি কোন বাংলাদেশির চেহারা দেখলাম প্রায় ৫-৬ মাস পরে। মাসুদ ভাইয়ের সাথেও আসলে আমার দেখা হয়না খুব একটা।ছেলে স্টলের সেল্স এসিস্টেন্টের জব নিয়েছে তিন দিনের জন্য। উইচ্যাট আদান-প্রদান করে বিদায় নিয়ে কনসার্ট শুনলাম কিছুক্ষণ, "নক নক নকিং অন হেভেন্স ডোর"-গায়িকা ভালই গাইলো। আমাদেরও বিদায় নেওয়ার পালা- ব্যাক টু উরুমচি।

She was covering metal version of Bob Dylan's knock knock knocking on heaven's door.

Friday, June 9, 2017

Compulsion





I love growing my hair long.
Not because I love it or it’s beautiful.
But to see those long hairs
Fall on the ground
So lightly and quietly
Without making a sound
When I cut.
And it’s an urge
I must do!


I love cutting my long hair myself. 
Because it gives a tremendous pleasure of letting go,
And looking forward for tomorrow.
Because I can cut something 
Of myself without bleeding and hurting.
And it doesn't hurt at all.
I can make it too messy
I can make it too short
I can make it symmetrical
I can make it whatever to feel...
With cutting each lock-
I let go of the simultaneous feeling of being sad, 
Worst in anger and depressed. 
Momentarily
I look at the mirror- content and happy!


 If you want to be reborn let yourself die ~~ (Lao Tzu)






চন্দ্রবিন্দুর ছাদে








কতদিন দেখি না

ছাদের উপর থেকে-

সূর্যাস্তে ডিম-কুসুম সূর্যটাকে!

তুরাগ নদীর কালো জলে লাল প্রতিফলন|

সন্ধ্যার সিদূরে রঙা আকাশ,

লাল-নীল-হাওয়াই মিঠাই রঙের ঘুড়ি

আর দুষ্টু ছেলেদের কলবল|

এপাড়-ওপাড় নৌকার আনাগোনা, 

রিকশার গ্যারেজের টুংটাং ঘন্টা| 

ঢাকাইয়া ভাষায় সম্বোধন,

“ও মিয়া! বড় বাজার যাইবা?”

স্কাইপ কলে ভেসে আসে

পাশের বাড়ির নেড়ি কুকুরের ঘেউ ঘেউ

আমার মুচড়ে ওঠা দীর্ঘশ্বাস !

ইউটিউবে পবনদাস বাউল গায়-

"চঞ্চল মন আমার শুনে না কথা...

ঘুরিয়া বেড়ায় ঐ আকাশেরই গায়..."



A lucid dream






I was walking

To some unknown path

Winding and unwinding

Pebbled and stoned

Widened and intoned.

I was traveling alone

At the breaking of dawn

When it was neither too blue nor too dark

Where was I?

Could not find any mark!

And every turn I was taking

Wild flowers I was picking

And gazing on my knees,

My heart was ticking.

And suddenly I woke up staring

Into some emptiness

In front of me appeared a void

And I felt as a stray asteroid.

And I thought

“When you gaze into the void

Long enough,

Does the void also gaze into you?”



The path to nowhere (charcoal pencil sketch)

কিন্ডারগার্টেন বনাম পিএইচডি




কিন্ডারগার্টেনে পড়ে পুত্র তার বাংলা পরীক্ষার গল্প করে- কে নাকি "আনন্দ" বানান লিখেছে "অনন্দ", আরেকজন নাকি সাগর বানান লিখেছে "সগর"। আবার নিজেই বলছে, আ-কার দেয়নি!
আমি জিগেস করলাম, "তুমি কি করেছ?"
-আ-কার দিয়েছি! "জানো, আমি ২০ এ ১৯ পেয়েছি।"
-মারহাবা! সোওওও প্রাউড অব ইউ!
আজ ৩ ক্রেডিটের এসাইনমেন্টে পিএইচডির প্রফেসর কমেন্ট করেছে, ভেরি ওয়েল রিটেন। তারপর মার্কস দিয়েছে ৯৭। 
পুত্রকে বল্লাম, "জানো, আমাকেও প্রফেসর ১০০ তে ৯৭ দিয়েছে।"
পুত্র উল্টা আমাকে বলে,, "জানো আমি ইংরেজিতে ১০০ তে ১০১ পেয়েছি।"
আমি লাজওয়াব!! কিন্ডারগার্টেন ১: পিএইচডি ০। 






ফিনিক্সের ডানা





ডুডলিং করা আমার ছোটবেলার অভ্যাস। দেওয়াল থেকে শুরু করে, দরজা; হোমওয়ার্কের খাতা থেকে শুরু করে পড়ার বইয়ের কোনা-কাঞ্চিতে কলম পেন্সিল পেলেই হিজিবিজি আঁকিবুকি করা যার কোন আগামাথা নাই। স্কুল কলেজে থাকতে এজন্য আব্বুর ঝাড়িও কম খাই নাই। ইউনিভার্সিটিতে হয়তো বোরিং কোন লেকচার শুনছি, খাতার কোনায় হিজিবিজি চলছে। এখনো এই অভ্যাস আমার, যখন গ্রুপ মিটিং চলে চাইনিজ ভাষায়। 

আমার প্রফেসরের নাম “প্রফেসর প্যান”, ল্যাবের কিছু দুষ্ট পোলাপান  তাকে আড়ালে পিটার প্যান বলে ডাকাডাকি করে। আমরা সাবকন্টিনেন্টের পাব্লিকরা তাকে চাচা বা কাকু বলে ডাকি নিজেদের মদ্ধে। চাইনিজরাও বোঝে না। সাধারণত চাইনিজ ছাত্রদের উনি বিষদভাবে যে ইন্সট্রাকশন দিতে অন্তত ১০ মিনিট লাগান, বিদেশি ছাত্রদের বেলায় ইংরেজিতে উনি সেই ইন্সট্রাকশন দেন ২ লাইনে এবং এক মিনিটে। চাইনিজ ছাত্রদের  ওই ১০ মিনিটের "ইন্সট্রাকশন টাইম" পাস করতে আমার নোটবুকে আঁকিবুকি চলতে থাকে। ফুল-পাখি, হাতি, লতাপাতা, সময়টাও ভাল কাটে। মাঝে মাঝে নিজের প্রতিভায় নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাই।


বোরিং ইকোসিস্টেম ইকলোজি ক্লাসে করা ডুডলিং


এমিশন-এক্সাইটেশন স্পেকট্রসকপি বা জেটা-সাইজ যখন মাপি, একেকটা স্যাম্পল রান নিতে নিম্নে ১৫ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট সময় নেয়। এই লম্বা সময়টা আমি মোবাইলে গান শুনে, বই পড়ে বা অনেক সময় মুভি দেখে কাটিয়ে দেই। যখন রান শেষ হয়, পজ দিয়ে নতুন স্যাম্পল ইনজেক্ট করে আবার শুরু। মাঝে মাঝে সেই ডুডলিং চলে, চাইনিজরা আমার প্রতিভায় হা করে চেয়ে থাকে। আমি অবাক হয়ে ভাবি, এই হিজিবিজিতে মুগ্ধ হওয়ার কিছু নেইরে। ভাগ্যিস আব্বু নেই, নয়তো এগুলা দেখলে, আজও বলত, "সময় নষ্ট!"

সেদিন এই কাজ করতে গিয়ে খোদ প্যান কাকুর কাছে ধরা। আমি একমনে হিজিবিজি আঁকছি নোটবুকে, কাকু কখন যে পিছন থেকে উঁকি মেরে আছে আর দেখছে আমি টের পাইনি। উনার বাজে অভ্যাস এর একটা হল নি:শব্দে ঘাড়ের পিছন থেকে দাড়ায় উঁকি মেরে দেখবে কে কি করে।
“Wow! You have drawn that?”
হঠাৎ প্রশ্ন শুনে আমি থতমত, উত্তর কি দিব ভেবে পাচ্ছিনা। আমতা আমতা করি।
“What is that? It looks like a bird to me, more like a phoenix! A phoenix is flying, isn’t it?”
আমি কি বলবো বুঝে পাই না, খালি মাথা ঝাকাই……
“Nice nice! So how is your work going? I see you are working hard! Okay keep it up! By the way send me your report by tomorrow.” 
চলে গেল। বাবারে বাবা! যাক আমি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।


কাকুর চোখে এই সেই উড়ন্ত ফিনিক্স! 





PhD Defense days diary




বসন্ত চলে গেছে সেই কবে। উরুমচির গরমে ত্রাহি অবস্থা, পৌনে আঠারো ঘন্টা রোজা আর সেই ডিফেন্স-ডের ৫ দিন আগে থেকে সেই যে এই ফর্ম, সেই ফর্ম কত যে ফিল-আপ করছি আর ওয়েবে কতবার আপ্লোড করেছি তার হিসেব নেই। সবই চাইনিজ ফর্ম। আমি গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে ট্রান্সলেট করি, ফিল-আপ করি ইংরেজিতে। চৈনিক উৎপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রায় আমি ত্যাক্ত-বিরক্ত-অতিষ্ঠ। আমার ৯০% চাইনিজ আর ১০% ইংরেজি-বলা বান্ধবি গানগুয়ো জুয়ান আমাকে শুধু বলে "ফলো মি"। আমিও আন্ধার মত তাকে "ফলো মি" করি কিছু না বুঝেই। মাথায় জন ডেনভারের "ফলো মি" লিরিক্সটা ঘুরঘুর করে ঘুনপোকার মত।
"Follow me where I go, what I do and who I know, make it part of you to be a part of me.
Follow me up and down, all the way and all around, take my hand and say you'll follow me."
Lal la la la la... ...
আমি কি এই পুলসিরাত পাড় হতে পারবো? কাকু (Professor) কি কমিটিকে দিয়ে আমাকে বিশেষ বাঁশের ব্যবস্থা করবেন? আমাকে কি পিএইচডি দেওয়া হবে না? Do or die! ২৮ তারিখের প্রেজেন্টেশনে ২০ মিনিট যদি “I’m Groot, I’m Groot …” বলে বকে যাই! ওভারথিংকিং, এঙজাইটিতে আমার ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা। সেটা কাটানোর জন্য আমি জেল-পেনে বিলাই একে যাচ্ছি।

একাডেমিক বিলাই- বিরাট টেনশনে আছেন উনি

চিন্তিত, টেনশিত একাডেমিক বিলাই- উনার কি হবে?উনার কি হবে?

২৭ তারিখের ডেমো প্রেজেন্টেশনে কাকু এপ্রিকট (খুবানি) নিয়ে এসেছিল । টাশকিত করে দিয়ে নিজেই সেই এপ্রিকট পানি দিয়ে ধুয়ে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। মনে মনে বলি, "কাকু এপ্রিকট দিয়ে কি হবে- ডিগ্রি দেন, দেশে যাই"। ডেমো প্রেজেন্টেশনে, কাকু আমাকে শুরু করতে বল্ল সবার আগে। সম্ভবত গত মিডটার্মে সবার শেষ বক্তা হিসেবে "ঢিচকাও" পার্ফরমেন্স উনার মনে ছিল। "ঢিচকাও" পার্ফরমেন্স আরেকবার ডেমো দিলাম। প্রেজেন্টেশন ২০ মিনিটে শেষ। মিডটার্মের ঢিচকাও পারফরমেন্সের পর পুরা কনফারেন্স রুমে ছিল পিনড্রপ সাইলেন্স। ডেমো প্রেজেন্টেশনেও সেই পুনরাবৃত্তি । 
 সবাই চুপ দেখে জিগেস করলাম, Any suggestions?
কাকু এবার মুখ খুলল, “Are you excited, Shami?”
-I’m very much excited Professor! Finally I’m finishing and going home.
-Shami, you should speak slowly. Presentation time 30 minutes and add one more slide on environmental and ecological significance. That’s it.
-Oh! I’m sorry Professor. I thought the time was 20 minutes like midterm presentation. Thanks a lot Professor! I shall speak slowly. আল্লাহ কাকুকে হেদায়েত করার জন্য থ্যাঙ্কস, দয়া করে কমিটিকেও হেদায়েত কর প্লিজ্জ্জ্জ্জ্। 
উপরে অফিসে যেতেই ড. লি হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, "এডভান্স কংগ্রাচুলেশন্স"
সিয়ে সিয়ে নি! আমি হাসি দেই। ডেমো দিয়ে শান্তি লাগছে।


ডিফেন্স ডের দিন (২৮ তারিখ) গেস্ট প্রেজেন্টেশন ছিল পিকিং ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসরের, আমার থিসিস এক্সামিনেশন কমিটির মেম্বারও বটে। উনার শেষ হয়ে অফিসিয়াল এনাউন্সমেন্ট দিয়ে শুরু হল আমার প্রেজেন্টেশন। এক্সামিনেশন কমিটি মিডটার্মে আমার "ঢিচকাও" দেখেছে তাই এবার খুব বেশি অবাক হয়নি। Thanks and any questions and suggestions বলে শেষ করলাম। মনে মনে বলি, "Shoot your questions, you are only going to kill a PhD student! I'm also ready to fire my answer in return." প্রায় ৪০ মিনিট তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শেষ হল। এরপর গানগুয়ো জুয়ান আর আরও ৪ জন মাস্টার্স ক্যান্ডিডেট আর ১ জন মাস্টার্স প্রোপজাল প্রেজেন্টেশন এর পরে অপেক্ষার প্যারা। 

ঠ্যাঙের উপরে ঠ্যাঙ তুলে বসে হোক আর দাড়ায়ই হোক- কোন কিছুর অপেক্ষা মানেই প্যারা!

এক্সামিনেশন কমিটির রুদ্ধ দুয়ার বৈঠক, আর আমাদের দুরু দুরু বুক। তারপরে কেমন করে কি হল আমার আর মনে নেই। একটা ঘোরের মদ্ধে ঢুকে গেছিলাম, যে ঘোরে ঢুকতে পারে শুধু সত্যিকারের মাতালেরা (তারাপদ রায়ের মাতাল সমগ্রে পেয়েছিলাম সম্ভবত)। আমার অনুভূতি কি যখন জিগেস করল, হড়বড় করে কি বলেছি তাও বলতে পারবনা, "পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম" মাথায় ঘুরছিল। ডর্মে ফিরে হাসলাম অনেক, একাএকাই। হাসতে হাসতে একসময় হাউমাউ করে কাঁদলাম। Kahlil Gibran was right in "The Prophet" -
"Your joy is your sorrow unmasked.
And the selfsame well from which your laughter rises was oftentimes filled with your tears.
And how else can it be?"


Graduation mode is on! Perspective may be wrong but it was my anxiety reliever!






Monday, May 22, 2017

Encountering Bizarre Food




এন্ড্রু জিমার্ন আর বেয়ার গ্রিল্স এর আমি চড়ম ভক্ত। লোকদুটা কি সুন্দর আবজাব সব খেতে পারে- কাঁচাকুচা কেঁচো, শুয়োপোকা থেকে শুরু করে কাঁচা মাংস, নারিভুড়ি- কোন কিছুই বাদ রাখেনা! খাবারের ব্যপারে যদিও আমি চড়ম খুঁতখুঁতে কিন্তু ইস্ট এশিয়ায় থেকে, সেটা অনেক কমে গেছে। যে আমি একসময় মাছও খেতামনা, সে আমি গাপুসগুপুস করে শামুক, ওয়েস্টার, স্কুইড আর অক্টোপাস খাই। ড্রাগন ফ্লাইয়ের লার্ভা খাওয়া ছিল সবথেকে আজব আমার জন্য। মাঝে মাঝে নিজের এই বিবর্তন নিয়ে ভাবি আর ডারউইনের কথাও চিন্তা করি। 

চার্লস ডারউইন নাকি যে প্রজাতি নিয়েই গবেষণা করত, সেটাই খেয়ে দেখত-সেই রকমের খাদক ছিল বলতেই হয়! ক্যামব্রিজের ছাত্র থাকা অবস্থায় নাকি "দি গ্লাটন ক্লাব" নামে একটা সংগঠন করেছিল যাদের মূল কাজ ছিল "এক্সটিক স্পিসিজ" বা বহিরাগত প্রজাতির প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে কেমন তার স্বাদ গ্রহণ করে দেখা (অর্থাৎ ইংল্যান্ডের মাটিতে যা যা প্রজাতি পাওয়া যায়)। এজন্য নাকি তারা বাজ পাখি, প্যাঁচা, ইঁদুর, পোকামাকড় ইত্যাদি ইত্যাদি টেস্ট করে দেখেছিল।প্যাঁচা খেয়ে ছেলেরা বলেছিল "ইন্ডেসক্রাইবেবল" যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না (সোজা বাংলায় জঘন্য)। "দি বিগল" যখন গালাপোগাসে গেল, চার্লস ডারউইন সেখানে মনের সুখে ইগুয়ানা খেল। আরমাডিলো (যাকে বাংলায় বলে বন রুই) খেয়ে নাকি বলেছিলেন এটা নাকি হাঁসের মাংসে মত  স্বাদ! এখন বুঝতে পেরেছি কেন চাইনিজগুলা এই আরমাডিলো খেয়ে খেয়ে আরমাডিলোর বংশ নিরবংশ করে "এন্ডেনজার্ড স্পিসিজ" বা বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় নিয়ে এসেছে। কিংবা মাদাগাস্কারের "জায়ান্ট টরটয়েজ" বা দৈত্যাকৃতির কচ্ছপও  বিপন্ন তালিকায়। ওইযে ডারউইন থেকে ইন্সপিরেশন পেয়েছে।

সেবার ল্যাব এর নতুন স্টাফ ওয়াং শানশান সেলারি পাওয়া উপলক্ষে পার্টি দিযেছে, এবং গত কয়েকদিনের ট্রেন্ড অনুযায়ি সেটা "গার্ল্স পাটি" তে পরিনণত হল। আমি যেহেতু ইস্ট এশিয়ায় এসে মৎস্য-খোর হয়ে গেছি, ওরা পার্টিতে আমার জন্য মাছ রাখে। এবারও তাই এমন একটা রেস্তোরাতে গেলাম যেটার স্পেশাল আকর্ষণ হল মাছ। মাছ এল, নুডুল্স এল, তফু এল, গরুর মাংসের কাটা স্লাইস এল, হাসের মাংসের গলা কাটা এল (ডাক নেক - কি অদ্ভুত!)। আমরা টেবিলের ইন্ডাকশন কুকারে রান্না করতে লাগলাম। তেল ঢেলে ফ্রাই করা হল তফু, বীফ স্লাইস। প্লেটে করে এল কাটা তরমুজ, গ্লাসে এল ফ্রেশ কমলা, তরমুজ আর বাদামের জুস। কে জানত আরো একটা ডিশ আছে। এত্ত সুন্দর চেহারার ডিশটায়, খুব ছোট ছোট মাংসের মত কাটা, তাতে ক্যাপ্সিকামের লাল, সবুজ মিশ্রণ, স্প্রিং অনিয়ন ছড়ানো, আর লাল মরিচের টুকরো কাটা। লোভনিয়, দেখেই খেতে ইচ্ছে করে। প্রথমে ভেবেছিলাম কবুতরের মাংস এভাবে রান্না করেছে। 
তবু নিশ্চিত হয়ার জন্য জিগেস করলাম
What is this dish?
Its frog!
Frog? Zhen de ma? (মানে সত্যি?)
কানের মধ্যে যেন ঠাডা ফেলল ওয়াং শান শান। 
“Are you afraid of frog?”
No no I’m not afraid of frogs. Err I-I just don’t eat them!
Oww! They are like fish you know!
They are like fish! Are you kidding me? ব্যাঙ আর মাছ এক হইল! ইক্ক্ক্!






এক ইন্ডিয়ান ভেজিটারিয়ান ছিলেন, ড. রাজ -ইস্ট এশিয়াতে এসে উনার মাছ-মাংস খাওয়াতে হাতে খড়ি হয়েছে (বা মুখে রুচেছে)। একবার উনার সাথে গিয়েছিলাম পিৎজা খেতে। সাইড ডিশ হিসেবে উনি বল্লেন,"ইল ফ্রাই" এর অর্ডার দেই কি বল? 

ইলকে বাংলায় বলে "কুইচ্চা বা কুচে" ধানক্ষেতের কাঁদামাটি আর খাল বিলের পললে এটা লুকিয়ে থাকে যাকে ইংরেজিতে বলে "সেডিমেন্ট ডুয়েলিং"। মাছের বাজারে এটা বিক্রি হতে দেখেছি। অতিশয় কদাকার দেখতে, কেম যেন সাপের মত কুতকুতে চোখে চেয়ে আছে। শুনেছি বাংলাদেশ থেকেও নাকি বেশুমার কুইচ্চা থাইল্যান্ড, চায়নার মত ইস্ট এশিয়ার দেশগুলোতে রপ্তানি হয়।
ইট লুক্স সো আগলি! I can't imagine eating "কুইচ্চা"!! 
“এটাতো মাছই! তুমিতো মাছ খাও অনেক,” মন্তব্য ড. রাজের। 
চিংড়ি ফ্রাইয়ের অর্ডার করি কি বল?
No problem. I like shrimp as well!
বিশাল একটা হাসি দিলাম। এন্ড্রু জিমার্ন আর বেয়ার গ্রিল্স এর যতই চড়ম ভক্ত হই না কেন, ব্যাঙ আর কুইচ্চা খেতে পারবনা!



Sunday, May 21, 2017

Google Translator





ম্যাসেনজারে জনৈক বন্ধুর ক্ষুদে বার্তা, "কি করিস?"
-আকাশের দিকে চেয়ে আছি ড্যাব ড্যাব করে...
-কাজ নাই?
-আছে তো! আচ্ছা বলতো, "আমি আকাশের দিকে চেয়ে আছি ড্যাব ড্যাব করে" গুগল ট্রান্সলেটর এইটারে কি ট্রান্সলেট করব?
-দিয়াই দেখ!
দিয়েই দেখলাম, বন্ধুকেও দেখালাম, হাসতে হাসতে পেট ফাটার দশা। "DAB to DAB, I'm looking at the sky"!!!! 
ট্রালেশনের কাহিনী এখানেই শেষ না। সেদিনই একটা ইমেইল এল কোসুপারভাইজারের  কাছ থেকে। আমাকে একটা ২০০ শব্দের চাইনিজ এবস্ট্রাক্ট বা সারাংশ লিখতে হবে। কি বিপদ! চাইনিজ জ্ঞান আমার "নি হাও" (হ্যাল), "ও হ্যান হাও" (মানে আমি ভাল আছি), "নি না?" (আপনি কেমন আছেন?) ওই পর্যন্ত। বুদ্ধি করে গুগল ট্রান্সলেশনে দিয়ে দিলাম। কিন্তু বাংলা থেকে ইংরেজি যদি অনুবাদ হয় "DAB to DAB, I'm looking at the sky" (?) তো সারাংশ থেকে শুধু সার মানে গোবর ছাড়া কিছু পাওয়া যাবে না। 

আমার চাইনিজ ল্যাবমেটদের কোন কিছু অনুরোধ করলে ৭ কুমিরের ছানার মত অজুহাত দেখায়। তাই অন্য ল্যাবের চাইনিজ স্পিকিং কাজাখ বান্ধবি মায়রাকে ধরলাম। গুগল ট্রান্সলেটটা একটু চেক করে দাও প্লিজ!  মায়রা এখানের লাইন ওখানে, সামনের শব্দ আগে-পিছে করে দিল। বার কয়েক দেখে বলল, "ঠিকই আছে তবু নিশ্চিত হওয়ার জন্য কোন চাইনিজকে দেখাও! After all these are technical terms." 
কাকে দেখানো যায়? ভাবছিলাম ৭ কুমিরের ছানার অজুহাত শোনার চেয়ে কাকু মানে প্রফেসরকেই পাঠায় দেই। যদিও জীবনটা প্যারা দিয়ে অতিষ্ঠ করে ফেলছেন, তবে চাইনিজ এবস্ট্রাক্ট দেখে দিতে মনে হয় কার্পন্য করবেনা। ইমেইলে লিখলাম, "Dear Professor, please find the Chinese abstract in attachment and check the language. I did it with the help of Google translator and a friend. However, I think your language expertise is better than any of it!" 
দুরু দুরু বুকে যা থাকে কপালে, দিলাম সেন্ড বাটন চেপে। রাত ১১:৪৫ এ কাকুর ইমেইল, "Here is your abstract!"
আগে কাকুর প্যারা খেয়ে দোয়া করতাম, "আল্লাহ কাকুকে দড়ি ফেলাও, তুইলা নাও!"
জনৈক বন্ধু শুনে বলেছিল, "যাহ! এমনে দোয়া করলে হবে না, হেদায়েতের দোয়া কর।"
অতএব  দোয়ার স্টাইলও পরিবর্তন, "আল্লাহ কাকুকে হেদায়েত কর, সে যেন আমাকে আর প্যারা না দেয়, সুম্মা আমিন!"
আজ দোয়া করলাম (ইমেইল উইথ এবস্ট্রাক্টটা পেয়েই), "আল্লাহ কাকুকে হেদায়েত করার জন্য থ্যাঙ্কু! আলহামদুলিল্লাহ!" আর হ্যা গুগলি মামাকেও ধন্যবাদ! বেঁচে থাক গুগল ট্রান্সলেটর।







Friday, May 19, 2017

The day is done


When the day is done
Down to earth then sinks the sun
Along with everything that was lost and won
When the day is done...
~~~Nick Drake (Day is done)

মানুষের ডিপ্রেশনে, অকারণ উদাস খাওয়ায়, মন খারাপে শীত ঋতুর যে কি বিশাল ভূমিকা আছে, চায়না না আসলে হয়তো অনুভব করতাম না কখনোই। ২০১৪ তে এসে প্রথমবারের মত সেই তীব্র শীতে আমি কঠিন ফ্লু জ্বর-সর্দি কাশি আর যেদিকে তাকাই মেদামাড়া বরফ দেখে অতিষ্ঠ। সাথে দিনের পর দিন দেখা নাই সূর্যের। আমি বাংলাদেশের আলো-বাতাসে মানুষ- সাধে কবি বলেন নাই, "আলো আমার আলো, আলোয় ভূবন ভরা"। আমি ভেবে পাইনা সূর্যের আলো ছাড়া কেমন করে মানুষ বাঁচে! জানুয়ারি, ফেবরুয়ারি, মার্চ -এই তিন মাসে আমি অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। এরপরের বছরগুলাতে যদিও বরফ পড়া খুব আনন্দ নিয়ে দেখেছি, কিন্তু দিনের পর দিন ওই ক্যাতক্যাতে বরফ ভেঙ্গে চলাটা আমার খুবই অসহ্য।
যাই হোক কেন আমি বার বার উদাস খাচ্ছি- তা নিয়ে একটা রিসার্চ করেছিলাম । রিসার্চের সারমর্ম : উদাস আমি একা খাইনা, উত্তরের টেম্পারেট কান্ট্রিগুলোতে লম্বা শীতকালে অনেকেই উদাস খায়। ডিপ্রেশনের মাত্রা বেশি হলে সুইসাইডের মত টেন্ডেনসিও বেড়ে যায়। মানুষের মন স্ফূর্তিতে থাকার জন্য সূর্যের আলো গায়ে মাখানোটা যে খুবই জরুরি তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। অনেকে আর্টিফিসিয়াল লাইটিং ব্যবহার করে, আলো গায়ে মাখায় যাতে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়, ভিটামিন ডি এর সাপ্লেমেন্ট ও খেতে বলে। আমি বরাবরই আন্ডা-প্রেমিক, আন্ডা খাওয়া বাড়ায় দিলাম সাথে দুধ। সুস্থ থাকা নিয়ে কথা। ২০১৫ আর ২০১৬ তে একমাস করে দেশে চলে গিয়েছিলাম ছুটি নিয়ে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে। যার জন্য অত গায়ে মাখাইনি। কিন্তু দেশ থেকে ফিরে এলেই একটা "বাড়ির জন্য মন কেমন করে" অনুভুতিটা পেয়ে বসত অন্তত ১ সপ্তাহ।
এপ্রিলে বসন্ত এল "আলোয় ভূবন ভরে", সাথে পিংকি চেরি ফুলের সুবাস আর চড়ুইয়ের আনাগোনা নিয়ে। নীল অকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলার মত। গরম কাল আসার সাথে সাথে আমি আবিষ্কার করলাম, আমার ৯ তলার জানালা দিয়ে শীতকালের যে ম্যাদামাড়া আকাশটা দেখা যেত, গরমকালে সূর্যাস্তেই সে রঙবেরঙের খেলা দেখাচ্ছে। অফিসে যতই খারাপ দিন যাক, এক্সপেরিমেন্ট যতই ফেইল করুক, কাকু (প্রফেসর) যতই মেন্টাল পেড়া দিক- শুধুমাত্র ওই সূর্যাস্তটার দিকে তাকিয়ে ভরসা পাওয়া। নিজেই নিজেকে বলতাম, "The day will be done, dear Watson!" শার্লক হোমস কখনো ওয়াটসনকে একথা বলে নাই তো কি হয়েছে, আমি না হয় বল্লাম!
আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ- ঝিমাইন্না দিন সাথে টেম্পারেচার ড্রপ করে হাল্কা ঠান্ডা পড়েছে। ফেসবুকে ঢুকে দেখি কমবেশি সবাই বাংলাদেশের আকাশ কালো করে আসা মেঘ, ঝমঝমিয়ে পড়া বৃষ্টির ভিডিও দিয়েছে। ফেসবুকে ট্রল হওয়া সেই আইনস্টাইন রবি ঠাকুর এর ছবির মত, ফেসবুকও প্রেম আর বৃষ্টির বন্যায় ভেসে যাচ্ছে।দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। কোথায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আর কোথায় ঝিমাইন্না ঠান্ডা বৃষ্টি। বাংলাদেশের মত রিমঝিম বৃষ্টি কোথাও নাই। 
What a depressing day! দুপুরে লান্চ করতে করতে বলছিলাম ড: রেহমানকে। হেসে বল্ল, "Be happy, this rain will cool Urumqi for the next one week. You don't like rain! huh?"
"I love rain very much, but not like here. Our rains are different. You can hear music in the rains of Bangladesh!"
"You are missing home, right?"আমি হেসে ফেল্লাম। 
দিন যাই হোক, রুমে ফিরে এসে ডিনারের জন্য খাবার গরম করতে দিয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম। সাধারণ আকাশটাই সূর্যাস্তে হয়ে গেল অসাধারণ। 
Yeah the day is done!

...Hope so much your race will be all run
Then you find you jumped the gun
Have to go back where you begun...




Tuesday, March 7, 2017

Random Thoughts On Women's Day


Today is 8th March, International Women's Day.
This morning one male friend sent me women’s day greetings quoting Merilyn Monroe, “Women who seek to be equal with men lack ambition”. After getting the quote I wished I had slapped my friend with making sound of “thash thash thash”. May be my wishes were too brutal. Yet I couldn't help myself expressing it. My first thought was if I wanted to become superior in the male dominated society; if I wanted to kick some ass; what the society would label me? Remember the US president quoted “grab em by the pussy”. I didn't forget it, it haunts me and it will haunt me forever.

One of my friends wrote, “Dear women, a man is matured and changed only when you break his heart. Without a broken heart, he remains a child. Happy International Women's Day...Be bold to break heart”. To my friend, I want to tell you something: a woman walks out of relationships when she is not satisfied, when she is misunderstood, when she feels it insecure. You have to remember evolution and you have to remember natural selection as well. Yet in this modern material world, it’s not always the alpha male who gets the woman. You can be handsome, you can be sexist, full of raging hormones and you can be the person loaded with money. But there are more things in this earth and in this modern time than being an alpha male. Those things are called sensitivity, compassion, love as well as ability to provide security and moreover the ability to understand a woman’s mysterious mind and her needs. So it also goes the other way round.

"Men themselves have wondered
What they see in me.
They try so much
But they can't touch
My inner mystery.
When I try to show them,
They say they still can't see.
I say,
It is in the arch of my back,
The sun of my smile,
The ride of my breasts,
The grace of my style. 
I'm a woman
Phenomenally.
Phenomenal woman,
That's me."
 ~~~Maya Angelou

When a woman walks out of relationships due to broken heart, she also becomes mature herself and more brave, more independent. When she is independent and brave enough to be alone of her own, it is difficult for her to fall in love. Because she is intelligent, smart and overly judgmental examining every aspects consciously. For her it’s even more difficult to get into any relationship. If she walks out of that relationship she is often misjudged. If she asks the question, “Did I take any advantage from you? Or being honestly saying her opinion “not able to love” despite her trial and finally give up.  She is labeled as “Selfish woman”.

Is it because she loves herself, her inner thoughts and her independence? Well to me it’s better to be a selfish woman than to lose ones dignity. I love myself, I respect my thoughts and I’m not afraid to express my opinion. I love my independence, I love being me no matter what situation I’m in. I could be a daughter, a friend, a lover, a wife, a mother, a teacher, a doctor, a scientist, an engineer, a fashion-designer, a sportswoman, an office worker etc. If I pitfall, I’ll get up no matter what. This is what defines me to be an independent woman.
'Cause I'm a woman
Phenomenally.
Phenomenal woman,
That's me.

Happy Women's Day!!!



Viva La Vida (live life)



ছাদটা অন্ধকার হয়েছিল, ছাদে আসলে কখনোই বাতি লাগানো হয়নি। অবশ্য ইলেকট্রিসিটিও নেই। পুর্নিমার পরের মরা চাঁদের আলো, উঠেছেই রাত দশটায়। আব্বুর ড্রামের আমগাছ এতো বড় হয়ে গেছে! চাঁদের আলোতে বেশ ভুতুড়ে লাগছে। তার চেয়ে তাজ্জব হল এত্তো বড় মোটা গাছ কেমন করে টবের মদ্ধে আছে। আর এইসা মোটা ডালাপালা নিয়ে। একটু হাওয়া-বাতাস লাগলেই তো উলটে পড়ার কথা শেকড়সুদ্ধ!
আমি আর আরীব ইজি চেয়ারে হেলান দিয়ে গুট গুট গল্প করছিলাম তার নীচে, আর আকাশের তারা দেখছিলাম, ওটা হচ্ছে কালপুরুষ, ওটা হচ্ছে সপ্তর্ষিমন্ডল-
"তুমি কিন্তু এবার আর যাবে না।" "আচ্ছা আর যাব না।""যাবা না কিন্তু!""আরে না, আরও যাবো? মাথা খারাপ!"
হঠাৎ আরীব গলা জড়িয়ে ধরে কানে কানে বলল, "একটা কথা, আমি না নানা ভাইয়ের ফজলি আমের গাছ থেকে একটা আম পেড়ে খেয়ে ফেলেছি। একটাই ছিল।" "এ??" "হ্যা তো! একটাই ছিল। তুমি কিন্তু নানাভাই কে বোল না!"  "না না বোলব না!"
বলতেই পরিষ্কার ইংরেজিতে বলে উঠল আরীব, We are all travelers of time. Everyday we are traveling to future- from today to tomorrow."
আমি চোখছানাবড়া করে শুনছি!
আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে ক্রিস মার্টিনের গলা শোনা গেল!

"I used to rule the world
Seas would rise when I gave the word
Now in the morning I sleep alone
Sweep the streets I used to own
I used to roll the dice
Feel the fear in my enemy's eyes
Listened as the crowd would sing
Now the old king is dead long live the king
One minute I held the key
Next the walls were closed on me
And I discovered that my castles stand
Upon pillars of salt and pillars of sand"

হায়রে এলার্ম !



মাছি

For I dance
And drink and sing;
Till some blind hand
Shall brush my wing
If thought is life
And strength and breath;
And the want of thought is death;
Then am I
A happy fly,
If I live
Or if I die

Little fly- by William Blake! 
ধ্যাত্তরিকা কি কবিতারে বাবা! কাল থেকে মাথায় ঘুরছে, রাত থেকে। কি কুক্ষণে যে কবিতাট চোখে পড়ল- আর সেই থেকেআম্মার সাথে ঝগড়ার কুফল। এই মহিলাটা যত নষ্টের গোড়া- শুধু শুধু গায়ে পড়ে ঝগড়া করল। অথচ কাল পরীক্ষা, কিচ্ছু পড়া হয় নাই।
পরীক্ষায় এগুলা লিখা আসব নাকি?
চান্দি ঠান্ডা করতে হবে। ছাদে গিয়া একটু হাওয়া খায়া আসি। কিন্তু মহিলাকে ক্ষেপাইতে হবে। আমি ব্লু জিন্সের সাথে সবুজ গ্রামীন চেকের পানজাবি পড়ে সাইড ব্যাগটা গলায় ঝুলায় সদর দরজা খুলতে খুলতে বল্লাম, আম্মা দরজা লাগায় দাও।
-কই যাস? গতকাল রাতে ঝগড়ার পরে আজ এই প্রথম কথা হচ্ছে।
-যাই... আমি মুচকি হাসি দিলাম।
-কই যাস?
-তোমাকে সব বলতে হবে কই যাই?
-বেশি স্বাধীনতা পেয়ে গেছ?
-কই না তো? স্বাধীনতা কাকে বলে আম্মাজান? একটু লেকচার দেন না?
(আমি আবারো একটা মুচকি হাসি দিলাম। এইবার এইবার ক্ষেপবে!)
-যা শুরু করছো...
-কি শুরু করছি? আমি তো গাজা বিড়ি সিগারেট কিছু খাই না, চাইনিজও খাই না, প্রেম-ট্রেমও করি না। মাঝে মাঝে একটু চা-সিঙ্গারা খাই। একদমে বল্লাম কথাগুলা|
-এত কথা বলিস কেন
-ট্রাকের তলে মরতে যাই...কলেজগেট! কলেজগেটে স্পীড-ব্রেকার নাই, ট্রাকের তলায় পড়া খুব কঠিন কিছু না। না চাইলেও পড়ে যাওয়া যাবে। (আমি হাসি দিলাম দাঁত বেড় করে। ক্ষেপানোর জন্য যথেষ্ট।)
-থাপড়ায় গালের দাঁত ফেলে দেব... এত কষ্ট করে বড় করছি কি ট্রাকের তলায় পড়ার জন্য?
-"
ব্যর্থ পিতামাতার ব্যর্থ সন্তান" তো... কি করবাম? ইচ্ছে করেই গলার স্বর নীচু করে বলেছি।
এইবার ভয়ঙ্কর রকমের ক্ষেপে গেছে মহিলা, "ব্যর্থ পিতামাতার ব্যর্থ সন্তান" কোন বাবা-মা এই কথা শুনতে চায়না। আমার বাদড়ামোটাও একটু মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
-আজই তোর বাবাকে বলব তোর জন্য পাত্র দেখতে। বিয়া দিলে তবে শান্তি! (চেহারা লাল-টাল হয়ে গেছে।)
-আউচ!! আম্মাজান আপনার এই কুচ্ছিত হাসের ছানাকে কে বিবাহ করবে বলেন তো? এইসব করতে যায়েন না। আমি ছাদে যাই, মাথা ঠান্ডা করতে। কাল আমার পরীক্ষা।
অমি টকাস করে আম্মার গালে একটা উম্মা দিয়ে এক দৌড়ে ছাদে।
আজকে "
আম্মাজান ক্ষেপানোর" মিশন সাকসেসফুল। 
…. “Then am I
A happy fly,
If I live
Or if I die”....